শেষ বিদায়
https://youtube.com/watch?v=v0fWDtnYRnw&si=0LcjdIgujZefXTyX ৯ মে ২০২৪ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাশিয়া নির্মিত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ইয়াক-১৩০ (YAK 130/ “ইয়াকোভলেভ-এরমাচি ইয়াক-১৩০/এইএম-১৩০” নামে ইয়াকোভলেভ এবং আয়েরমাক্কি কর্তৃক যৌথভাবে তৈরি করা) চট্টগ্রামের (পতেঙ্গার) জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি লাগোয়া বিমান বাহিনীর আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর এর বৈমানিকদ্বয় উইং কমান্ডার মোঃ সোহান হাসান খাঁন, পিএসসি এবং স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ বিমানটিকে চট্টগ্রামের লোকালয়ের আকাশ থেকে সাহসিকতার সাথে কর্ণফুলি নদীর উপর নিয়ে যেতে সক্ষম হন ও জরুরীভাবে প্যারাসুট দিয়ে বেল আউট হয়ে বিমান থেকে কর্ণফুলি নদীতে অবতরণ করেন। বিমান নদীতে তলিয়ে যায়। বিমানের দুইজন বৈমানিককেই স্থানীয় জনতা (জেলে ও অন্যান্য লোকজন) এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করেন ও তাদের নৌবাহিনীর/ সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে আই সি ইউ তে বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ মৃত্যু বরণ করেন। আহত অপর পাইলট উইং কমান্ডার সোহান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে বিপদমুক্ত হন। সদা দুনিয়ার সকল বৈমানিকদের মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হয়। সামরিক বৈমানিকদের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণকাল থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এ ঝুঁকি থেকে যায়। কাউকে ক্যাডেট অবস্থায় চলে যেতে দেখা যায়, অধিকাংশ সেনা বৈমানিক অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুতে তারা সকলেই অসীম নীল আকাশ মাঝে কোথাও নিজ নিজ অনন্ত আবাসে ঠাই নেন।