কারিগরি শাখার বিমান সেনা : সার্ভিস থেকে অবসর জীবনে

                                         -ইঞ্জিনিয়ার-

সেদিনটি ছিল ১৩ই এপ্রিল ২০২৪। উত্তরায় জিমুর বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে হল। তার ভাই নৌবাহিনীর বৈমানিক লে: কমান্ডার জায়েদের বিয়ের অনুষ্ঠানও উত্তরাতেই হয়েছিল। তাদের বাবা ছিলেন পি ডি বির ইন্জিনিয়ার। তিনি তাঁর কর্মজীবনের বন্ধুদের দাওয়াত দিলেন, স্বজনরা কেউই বাদ গেল না। জামালপুর থেকে দলবল সহ লিজাদের অনেকেই আসলেন। একই দিনে বিয়ের তারিখ নির্ধারিত থাকায় কেউ কেউ অবশ্য বারিক সাদিকের বিবাহে বগুড়ায় চলে গেলেন । তানিশা- লিয়ানারা ওদের মা বাবার সাথে এল। নতুন-পুরাতন পরিচিত অনেকের সাথে আলাপ পরিচয় হল। 

ওদের দাদা গাজী মোহাম্মদ কাহফেল ওয়ারা বেঁচে থাকলে নিঃসন্দেহে নাতি পাইলট জায়েদের জন্য গর্বিত হতেন। নাতনির বিয়ের গল্প করতেন। বিমান বাহিনীর কারিগরি শাখার বিমান সেনা ছিলেন তিনি। হয়ত তিনিও পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন (প্রায় সব নবিন বিমান সেনা এমন স্বপ্ন দেখে থাকে। কেউ কেউ হয়তো আই এস এস বি ফেস করার সুযোগ পায় তবে পি এ এফ থেকে বি এ এফ পর্যন্ত লম্বা সময় পরিক্রমায় কত জন জি ডি পিতে কমিশন পেয়েছেন বা কত জন সফলভাবে সকল কোর্স শেষ করে পাইলট হতে পেরেছিলেন তা হয়ত কেবল এয়ার ফোর্স রেকর্ডসই বলতে পারবে। আগ্রহীদের জন্য নিম্ন সাইট যুক্ত করা হলো😇। দেখে নিতে পারেন: navigationtalk.wordpress.com এতে ১৯৪৭ সালের পর থেকে বাঙালি বিমান সেনাদের বিষয়ে অল্প বিস্তর তথ্য দেওয়া হয়েছে।)! যখন তিনি বিমান বাহিনী থেকে অবসর নেন তখন তিনি পি এ এফ চাকলালায় পরিবহন বিমান বহরের বিশাল সি-১৩০ পরিবহন বিমানে কর্মরত ছিলেন। বেচেঁ যখন ছিলেন তখন তার কাছেই শুনেছি যে তিনি একবার এ বিমানে ছুটিতে পরিবারসহ লাহোর থেকে ঢাকা এসেছিলেন। অবসর জীবনের দিনগুলোতে তিনি ছিলেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের একজন জাঁদরেল প্রশিক্ষক (আমার বিমান বাহিনীতে যোগদান করার আগে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তিনি প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে আমারও একজন প্রশিক্ষক ছিলেন।)।

সেকালে অবসর নেওয়া কিছু কিছু বিমান সেনা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক হতে পেরেছিলেন। তখন অবশ্য রিজার্ভ সেনাদের যুদ্ধের প্রয়োজনে যে কোনো সময় পুনঃ ডাকা হত। ১৯৬৫ সালে তিনিও পুনঃ ডাক পেয়ে পুনরায় ইউনিফর্ম পরিহিত গর্বিত বিমান সেনা হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আসলে ‘৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধে বাঙালি সেনারা সৃষ্টি করেছিলেন এক অনন্য ইতিহাস। তারা লাহোর রক্ষায় নিজেদের জান কুরবান করতে কুন্ঠিত হন নাই। বাঙালি বিমান যোদ্ধা স্কোয়াড্রন লিডার আলম জেট যুদ্ধ বিমান যুগের প্রথম ‘এয়ার এইস’। সারগোদার আকাশে তাঁর স্যাবর যুদ্ধ বিমান নিয়ে আই এ এফের বহু বিমান বধের কারণে এ সম্মাননা লাভ করেন তিনি। সে যুদ্ধে পি এ এফের বাঙালি বিমান সেনাগন নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছিলেন। অপর দিকে 👉 তারাই ৭১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন ফলে মাত্র নয় মাসে আমরা পেয়েছি একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র, একটি নতুন পতাকা।

যাকগে, গিন্নি বলল, চল তোমার সাথে হাশি আপা ও তাঁর স্বামীর পরিচয় করিয়ে দেই। পরিচয় হল। আপার স্বামীও একজন ইন্জিনিয়ার। আপা বললেন কোন না কোন ভাবে আমার স্বামী আপনার আত্মীয়। একজন মিরন আপনার এবং আমাদেরও আত্মীয়! হাশি আপার স্বামী বললেন মিরানদার বাবা আমার আপন চাচা। তিনি গোপালদী থাকতেন। আমি নারায়ণ গন্জ থেকে লঞ্চে তাঁর বাড়ি গিয়েছি। আমারও মনে হলো শিশু বয়সে আমার নানার সাথে আমিও রাতের বেলায় ছোট লঞ্চে সওয়ার হয়ে তারাভরা নিশি শেষে বারদী হয়ে গোপালদী গিয়েছি। আমরাও একই বাড়ি বেরাতে গিয়েছি। আসলে তিনি কোন না ভাবে আমার নানার ভাই অর্থাৎ, তিনিও আমার একজন নানা ছিলেন।

১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পি এ এফে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তিনিই আমাকে বলেছিলেন – সেন্টু করাচির পাক-সুইস পলিটেকনিকে পড়ে। তার সাথে দেখা করিস। আমার পি এ এফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোরাঙ্গী ক্রিকের স্কুল অফ এরোনটিক্স (এস ও এ) থেকে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে জানলাম কোর্স শেষে তিনি দেশে ফিরে গেছেন। এসব আলোচনা হল। তিনি জানালেন ‘৬৯ সালে তিনি কোর্স শেষে বাড়ি ফিরেন। সে সময় আমি পি টি টি এস কোহাটের প্যারেড গ্রাউন্ড আর শ্রেণী কক্ষের কঠোর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ব্যাস্ত। ক্রমে যোদ্ধা হয়ে উঠছি। তিনি ‘৭১এ আমার বান্নু থেকে পলায়নকালে খাইবার গিরিপথের ল্যান্ডিকোটালস্থ কিস্সাখানী বাজারে ধরা খাওয়া ও সামরিক সাজা বিষয়ে জানতে আগ্রহী হলেন। বন্দি জীবনের সুখ-দুঃখ জানতে চাইলেন।

একসময় জানলাম তিনিই সেন্টু মামা। বালক বেলায় তার সাথে দেখা হওয়ার কথা মনে এল। জানলাম তিনিও করাচির মরুর বালিয়ারির মাঝে বা এখানে সেখানে বেড়ে ওঠা বাবলা বনে বাঙালি বস্তি দেখতে গিয়েছেন। যাক, তিনি দুবাইয়ে ৪০ বছর ইন্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ড্রিগ রোডের পি এ এফ ঘাটির কাছে কোন প্রতিষ্ঠানে ও পরে দেশে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে জব করেছেন।

তাঁর বাবা শাহাবুদ্দিন নানার প্রসঙ্গ এল। তিনি ছিলেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কঠোর পরিশ্রমী একজন অঙ্কের শিক্ষক। সংসারের বাস্তবতায়  তিনিও হয়ত কখনো প্রাইভেট টিউটর  ছিলেন। লিখেছিলেন অঙ্কের বই। পূর্ব পাকিস্তানে জাদবের পর মুসলিম লেখক হিসেবে তিনিই প্রথম অঙ্ক বই লিখেন। আমি আমার নানার সাথে তাঁর বাড়ি গেলে তাকে বোর্ডের খাতা মূল্যায়ন, রিভিউ, টেবুলেশন এসবে মনোযোগী দেখতাম। সেন্টু মামা জানালেন বই লিখে নানা বহু টাকা রয়েলটি পেয়েছেন। এতে তাঁর ভাই বোনদের লেখাপড়া সহজতর হয়েছিল। বানাতে পেরেছিলেন বিশাল পাকা ইমারত। কথা প্রসঙ্গে জানালাম, আমার গিন্নীর জন্ম চাকলালা তবে দাদা গাজী আমির আলী তথা জিমুর বাবার জন্ম যে ড্রিগ রোডে তা বলা হয় নাই। আলাপন জমে উঠল। রেখা খালার প্রসঙ্গে কথা হলো। আমার বোন ফাতেমা, হাফিজা ও কন্যা তামান্না তাঁর সময়েই ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেছে। রেখা খালা সে কলেজে বহু বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর নিয়েছেন। তাঁর বর্তমান অবস্থার কথা উঠল। এককালের তুখোড় শিক্ষক এখন বয়সের কাছে পরাজিত।  

আসলে আমার বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর আর তাদের বাড়ি যাওয়া হয় নাই (তবে অনুজ কৃষিবিদ ড: জয়নুলের ভাষ্যমতে সে একদিন সে নানার পুরাতন বাড়ি খোঁজ করে হয়রান হয়ে বাড়ি ফিরে আসে!। সেন্টু মামার ভাষ্যমতে সেখানে তারা ভাই বোন মিলে বিশাল বিশাল বহুতল বাড়ি বানিয়েছেন। বিধায় জয়নুল আর সে বাড়ি কখনো খোঁজ করে পাবেনা।)

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। আমার সাবেক বিমান সেনা বন্ধু জাকারিয়া আর আমি ক্যাম্ব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ এভিয়েশনে (সাইকাতে) একসাথে পার্ট টাইম শিক্ষকতা করেছি, বিমান প্রকৌশল পড়িয়েছি। তিনি তার নামের আগে ইন্জিনিয়ার লকব লিখতেন। আমার ট্রেড ফেলো (এয়ার ফ্রেম) আর একজন বিমান সেনাও তার নামের আগে এ পদবিটি লিখতেন। সাইকাতে একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারও নামের আগে ইন্জিনিয়ার পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন! আমরা সকলেই বিমান বাহিনীর কারিগরি শাখার বিমান সেনা ছিলাম। আমাদের সকলকেই বিমান বাহিনীর কিছু কোর্স সমাপ্ত করতে হয়েছিল যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড স্বীকৃত ডিপ্লোমা অফ এসোসিয়েট ইঞ্জিনিয়ার সমমানের।

এখন প্রশ্ন হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগন কি নামের আগে ইন্জিনিয়ার লকব বৈধভাবে লিখতে পারেন ❓ এদেশে বি এস সি ইন্জিনিয়ারগন এ লকবটির বৈধ দাবিদার বলে মনে করেন। তবে ঢাকা পলিটেকনিক থেকে পাস করা আমার ক্লাসমেট একজন সি এ এ বিতে প্রমোশন পেয়ে সহকারী ইন্জিনিয়ার হয়েছিলেন। টি এন্ড টির আর একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মানের প্রকৌশলীকে আমি চিনতাম যিনি প্রমোশন পেয়ে সহকারী ইন্জিনিয়ার হয়েছিলেন।

আসলে সেকালে বহু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সরকারি দপ্তরে কাজ করতেন ও কেউ কেউ বি সি এসের সুপারিশে প্রমোশন পেয়ে এক্সিকিউটিভ ইন্জিনিয়ার পর্যন্ত হতে পেরেছিলেন। সুতরাং, তাদের ইন্জিনিয়ার লকব লিখা অবশ্যই বৈধ ছিল। তাদের কেউ কেউ নামের সাথে ব্রাকেটে বি সি এস লিখতেন। এখনো অবশ্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগন কোথাও না কোথাও সহকারী ইন্জিনিয়ার হিসেবে প্রমোশন পেয়ে থাকেন। এ ছাড়াও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগন এ এম আই ই সমাপন করে ইন্জিনিয়ার লকব বৈধভাবেই পেতে পারেন। আমার সার্ভিস জমানায় দুই এক জন বিমান সেনাকে এই কোর্স করতে দেখেছি।  

যাকগে, এবার আলোচনা করা যাক আমার বিমান সেনা বন্ধুদের ইন্জিনিয়ার পদবী লেখাটা বৈধ ছিল কি❓


ইন্জিনিয়ার জাকারিয়ার বিষয়টি আগেই বলা যাক। তিনি যখন ফ্লাইট সার্জেন্ট তখন তিনি বিমান বাহিনী থেকে অবসর নেন ও বাংলাদেশ বিমানে যোগ দেন। সেখানে তাকে বহু কোর্স সমাপন করে ইন্জিনিয়ার লকব পাওয়ার পরীক্ষা দিতে হয়। আগে উল্লিখিত আমার ট্রেডফেলো বিমান বাহিনীর চাকরি অবসানের পর সৌদি এয়ার ফোর্সে যোগ দেয়ার সুযোগ পান ও ২৪ বছর পর সেখান থেকে অবসর নেন এবং সেখানেই নাকি তিনি স্কোয়াড্রন লিডার ও ইন্জিনিয়ার পদবিটি লিখার যোগ্যতা অর্জন করেন। আর ওয়ারেন্ট অফিসার যারা চীন দেশে বা অন্যান্য দেশে গ্রাজুয়েশন করার জন্য সরকারিভাবেই গমন করেন ও সফলতার সাথে কোর্স সমাপন করতে পারেন তারা ইন্জিনিয়ার লকব বৈধভাবেই লিখতে পারেন। তা অবশ্যই অবসর গ্রহণের পর। এয়ার ফোর্সে কর্মরত অবস্থায় যথামাফিক পরিচয় লিখা বা বলা বাধ্যতামূলক। অন্য কিছু অপ্রয়োজনীয়। যেমন বিডি নম্বর…………….. ট্রেড…………নাম…………………..। অর্থাৎ এয়ার ফোর্সের বিমানের গ্রাউন্ড ক্রু ও অন্যদের নিজ নিজ ট্রেডই বাহিনীতে বিমান সেনাদের পরিচয়। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সমমান বা উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরও সে পরিচয় থাকে! অবশ্য, কারো ট্রেড যদি ফ্লাইট ইন্জিনিয়ার হয় তবে তিনি তাই বলবেন বা লিখবেন। বিমান বাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর এরোস্পেস ও এভিউনিক্স বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেডের বিমান সেনা সাধারণত বাংলাদেশ বিমানে বা অন্য এয়ার লাইন্সের কারিগরি শাখায় বিবিধ জব পেয়ে থাকেন। কর্মরত অবস্থায় তারা সি এ এ বিতে লাইসেন্স পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারলে (লাইসেন্স) ইন্জিনিয়ার লকব বৈধভাবেই লিখতে পারেন। হালের বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের কারিগরি শাখার বিমান সেনাগন সার্ভিসে কর্মরত অবস্থায় সি এ এ বির অধীনে লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে পারেন। লাইসেন্স পেলে তাদের লাইসেন্স ইন্জিনিয়ার বনার যোগ্যতা অর্জিত হয়। এতে অবসর জীবনে তাদের দেশে বা বিদেশে উচ্চ বেতনে ইন্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কারিগরি শাখার অন্যান্য ট্রেডের বিমান সেনাদের কেউ কেউ কোন কোম্পানির সার্ভিস/প্রডাকশন ইন্জিনিয়ার পদে নিয়োগ পেতে পারেন। চিকিৎসা সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, করণিক নিজ নিজ ক্ষেত্রে জব পেতে পারেন। কোন কোন বিমান সেনা কোন কোন বেসরকারি পলিটেকনিকে নিজ নিজ ট্রেডের প্রশিক্ষক হতে পারেন, প্রশাসনিক কাজ পেতে পারেন। জি সি আই/ পি টি আই কোন স্কুলে শরীর চর্চা শিক্ষকের কাজ জুটিয়ে নিতে পারেন। সোনার গাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় কিছু পদে কিছু অবসরপ্রাপ্ত বিমান সেনাকে জব করতে দেখেছি। আসলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলেম আলী স্যার যথাযোগ্য সাবেক বিমান সেনাদের নিয়োগ দিতে পছন্দ করেন।

বিমান বাহিনী জীবনে অনেক বিমান সেনা তাদের ট্রেড নিয়ে ভাবেন এবং অবসরের পর সেসবের চাহিদা কেমন হতে পারে তা নিয়ে একে অপরকে প্রশ্ন করেন। ফটোগ্রাফি এমন একটি ট্রেড।   তাদেরও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড স্বীকৃত ডিপ্লোমা অফ এসোসিয়েট ইঞ্জিনিয়ার সমমানের কোর্স এয়ার ফোর্সে থেকেই সমাপন করতে হয়। চাকরি জীবনে তাদের হতাশা থাকে যে অবসর গ্রহণের পর তাদের ভাল কিছু করার সুযোগ নেই। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়। আমার পরের এন্ট্রির একজন ফটোগ্রাফার গাজীপুরস্থ আই ইউ টিতে   ফটোগ্রাফার পদে জব করেছেন বহু বছর। সেখানে তিনি উচ্চ বেতনে চাকরি করতেন। বর্তমান ভার্চুয়াল জগতে ফটোগ্রাফারগন দেশে থেকেও বিদেশের বহু প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্ত হয়ে ফটোগ্রাফার হিসেবে ছবি পাঠিয়ে যথেষ্ট আয় করতে পারেন। নিম্ন লিঙ্কটি ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। বুঝতে পারবেন ফটোগ্রাফার বিমান সেনা অবসর জীবনে একজন নামকরা ফটোগ্রাফার হয়ে উঠতে পারেন। দেখুন:


https://www.facebook.com/100085516731643/posts/pfbid0oELtj19VrL3zGLzQApZfMqJXfuhDJQezWXaZw5peZZbjZe83cQfQLxSYyDfb6ST5l/?app=fbl

About Syed Mohd. Saleh Uddin

I am from Bangladesh (East Pakistan before 1971). I joined the PAF in 13 February, 1969 then served in the BAF and Bangladesh Army (AEC) and retired (as SWO) from the Bangladesh Army in December, 1986. Then I joined in a college as a Lecturer and lastly retired from the Rampura Ekramunnessa Degree College situated in Dhaka, Bangladesh in July 2012 as an Assistant Professor. During this long period, time to time I worked in the Dhaka University, National University, Bangladesh Open University, BISE and BTEB as an examiner or scrutinizer etc. I also served in the CATECH, HICAM, NIET etc institutes in different teaching capacities and now working in a literary project of Dr. Shah A. Rahim (Associate professor, BOU) as a translator of literary works and a free lancer for the world media viewers. I have few publications of various interests in Bangladesh.
This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

Leave a comment