লওহে মাহফুজ
بَلۡ هُوَ قُرۡاٰنٌ مَّجِيۡدٌ ۙ ٢١
فِىۡ لَوۡحٍ مَّحۡفُوۡظٍ ٢٢
২১। বরং এটা গৌরবান্বিত কুরআন।
২২ । লওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ।
(সুরা বুরুজ)
পদার্থ বিজ্ঞান মতে মহাকাশের সর্বত্র শুন্যস্থান অদৃশ্য কিছু (কণা) দিয়ে পূর্ণ। মাঝে মাঝে রয়েছে লক্ষ-কোটি 🌟তারকার রাজ্য! পৃথিবী থেকে আমাদের দেখা ছায়াপথসমূহ সেসবের সমাহার। আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানীগন সেসবের বহু নাম দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে জেনেছি ওই সুবিশাল আকাশ ⛅জগতে আরো এমন গ্রহ জগত রয়েছে যেসবে বাস করছে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ। সেসবে পাঠানো হয়েছিল প্রথম মানব ও ক্রমশ পাঠানো হয়েছিল নবী-রসুল আর কিতাব। কুরআন থেকে আমরা জানতে পেরেছি কিতাব লওহে মাহফুজে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি সেদিন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “আল কুরআনে লওহে মাহফুজের কথা উল্লেখ আছে, কোথায় এটি অবস্থিত?” আসলে মানবের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বিশাল মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবতে পারলেও সৃষ্টি জগতের সকল রহস্য উদঘাটন করতে কখনো পারবে বলে মনে হয় না। কখনো জানতে পারবেনা কত দূরে এর সীমানা!
আসলে স্রষ্টা সকল কালে ঘটমান সকল কিছু মহাকালের মাঝে রেকর্ড (সুরক্ষিত) করে রেখেছেন এবং রাখছেন যেমন বিলিয়ন বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া কোন 🌠তারকার মাঝে বিষ্ফোরণ ঘটনা এখনো হঠাৎ করেই আমাদের স্থাপিত প্রযুক্তির যান্ত্রিক জালে ধরা পড়ছে। বিগ ব্যাং এর ঘটনাও এখন পর্যন্ত সুরক্ষা পাচ্ছে জটিল এ সৃষ্টি মাঝে। অতীতে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা দিকে দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে আলোর বেগে। মহাকাশের শূন্যলোকে (ভেকুয়াম) সেসব প্রাথমিক কণা নিজেরাত ছুটছেই আমাদের পাঠানো বেতার তরঙ্গও এরই মাঝে সুরক্ষা পাচ্ছে। জটিল প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রযুক্তি সেসব আচ করতে পারছে। (কণা বিষয়ে আরও জানতে নিম্নের লিঙ্ক দুটি ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।)
আমাদের মহাকাশযান পাইয়ুনিয়ার আর ভয়েজার এখন এই পৃথিবী 🌎🌏থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন মাইল দূরে। চাইলে আমরা এখনো রেডিও ওয়েভে সঙ্কেত পাঠিয়ে সেসবের অবস্থান জানতে পারি বা সেসবের পাঠানো উপাত্ত আমাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে রেকর্ডিং করতে পারি। চন্দ্র বা মঙ্গলের দিকে পাঠানো আমাদের মহাকাশ গবেষণা যানের সাথে আমরা যোগাযোগ রাখতে পারি। আসলে গ্রাউন্ড স্টেশনগুলি পৃথিবী থেকে বিলিয়ন মাইল দূরে স্যাটেলাইট এবং মহাকাশযানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এসবের সঙ্কেত লয় প্রাপ্ত হয় না। কোন না কোনভাবে বিরাজমান থাকে। যেমন ১৯৭৭ সালে অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কে জানতে ভয়েজার-২ মহাকাশে পাঠানো হয়। এ সময়ে পৃথিবী থেকে ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মাইলেরও দূরে অবস্থান করছে ভয়েজার-২। নিজের অবস্থান থেকে সিগন্যাল পাঠালে সেটির পৃথিবীতে এসে পৌঁছোতে সময় লাগে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ সিগন্যাল আমরা পেয়ে গেলেও তা সফর করে চলেছে দূর থেকে দূরে। আগে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনকে খুব কাছ থেকে প্রদক্ষিণ করছিল এই ভয়েজার-২ এবং এ পৃথিবীতে তথ্য পাঠিয়েছে ।
মহাবিশ্বব্যাপি সর্বত্র এসব (সিগন্যাল) খোঁজ করতে পারলে সবই অনাদিকাল জুড়ে পাওয়া যাবে। মানুষের হায়াতে জিন্দিগানির সকল আমল এ সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় যা শেষ বিচারের সময় উপস্থাপন করা হবে। জাররাহ পরিমাণও বাদ যাবে না। যেমন ইউ টিউব বা ফেসবুকে আমরা ইচ্ছামতো ক্যাম থেকে ছবি বা যে কোন মিডিয়া থেকে অডিও তথ্য আপলোড করতে পারি। ভিডিও বানাতে পারি। যে কোন সময় সেসব দেখতে পারি বা মুছে ফেলতে পারি বা ডাউনলোড করে রাখতে পারি। দুনিয়ার যে কোন জায়গা থেকেই তা করা সম্ভব! দুনিয়ার অন্য প্রান্তে কারো বানানো কোন সাইট থেকে কোন তথ্য মুহুর্তের মধ্যে 👉❗👈 যে কেউ ওপেন করে দেখতে পারেন। আমরা এসব জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে করে থাকি। যেমন ভয়েজার ১ এর রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা সৌরজগতের সীমা পর্যন্ত এবং তার বাইরে ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। পৃথিবীর তিনটি ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক স্টেশনের মাধ্যমে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ ও গ্রহণ করার জন্য এটিতে একটি ৩.৭-মিটার (১২ ফুট) ব্যাসের উচ্চ-শক্তির অ্যান্টেনা রয়েছে। এটি একটি একটি জটিল প্রযুক্তি যা বেতার তরঙ্গ গ্রহণ ও প্রেরণ করতে পারে। সকলের অবগতির জন্য নিম্ন প্যারাটি উইকিপিডিয়া থেকে এখানে যুক্ত করা হল। আরো জানতে অন্যান্য সূত্রের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
“বেতার তরঙ্গ বা রেডিও তরঙ্গ এক প্রকারের তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ। এটি সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা ১ মিলিমিটার থেকে ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এই তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না। বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্ক দৃশ্যমান আলোর থেকে কম – ৩ কিলোহার্টজ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজ। ৩০০ গিগা হার্টজ রেডিও তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১ মিলিমিটার (চালের দানার চেয়ে ছোট); আবার ৩০ হার্টজ রেডিও তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০,০০০ কিলোমিটার (যা পৃথিবীর ব্যাসার্ধের চেয়েও দীর্ঘ)।” -উইকিপিডিয়া-
লওহে মাহফুজ আমাদের অজানা এমন এক মাধ্যম যাতে স্রষ্টার নির্দেশনা বা তথ্য রেকর্ড করে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে ও হচ্ছে, আমাদের অজানা কোন প্রক্রিয়ায়। আমাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আমরা সঙ্কেত আদান প্রদান করি ঠিকই তবে তেমন পদ্ধতি কেন প্রকৃতিতে বিদ্যমান রয়েছে তা আমাদের অজানা। ঠিক তেমনি কোন অদৃশ্য শক্তিবলে লওহে মাহফুজে তাই করা হচ্ছে যা অবশ্য আমাদের জানানো হয় নাই। এর জন্য সুরক্ষিত কোন ধাতব ফলক জরুরি নয়। স্রষ্টা কতৃক সৃষ্ট কোন পছন্দ করা মাধ্যম এর জন্য যথেষ্ট। আমরাত অদৃশ্য কোন মাধ্যমে মহাকাশের দিকে দিকে সিগন্যাল পাঠাই যা চলতে থাকবে অনন্ত কাল বা দুর্বল হয়ে গেলেও কোন রূপে অস্তিত্বশীল থেকে যাবে।
তবে অনন্ত মহাকাশের সর্বত্রই যেখানে আল্লাহর নির্দেশ পাঠানো হয় তা লওহে মাহফুজে রক্ষিত নির্দেশনা থেকেই পাঠানো হয়। সুতরাং, লওহে মাহফুজ কোথায়? দূরে কোথাও এর অবস্থান তা ভাবা কি জরুরি❓মহা নবী মুহাম্মদের (দ:) নিকট জিব্রাইল (আ:) হেরা পর্বত গুহায় বা মক্কা-মদীনায় আল্লাহর যে বাণী পৌঁছে দিতেন তা লওহে মাহফুজ থেকে আনার জন্য তাকে বহু দূরে কোথাও যেতে হয়েছে কি❓মহানবীর (দ:) মিরাজ সফরে জিব্রাইল (আ:) তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন। বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মোকাদ্দস আর দুনিয়া থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে সিদরাতুল মুনতাহা ও স্থানে স্থানে তিনি অবশ্যই আল্লাহর নির্দেশনা তাঁর নিকট পৌঁছে দিচ্ছিলেন। মক্কা, মদীনায় এবং এমনকি সপ্তম আসমান থেকেও বহু বহু দূরের আরশে মোয়াল্লায় মহানবীর সাথে আল্লাহ তাআলা সরাসরি কথা বলেছেন। ওইসব আলাপন অবশ্যই লওহে মাহফুজে সুরক্ষিত।
কোন হুজুর হয়তো বলবেন, “আরশের নিচে এর অবস্থান।” রূপকার্থে হয়ত সাচ্ বাত! তবে আল্লাহত তাঁর সাথে আরশেও কথা বলেছেন! আমরা শুনেছি যে মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ জায়গায় আরশের অবস্থান। বিধায় অন্য সব কিছু রূপকভাবেত বটেই শাব্দিক অর্থেও আরশের নিচে। আমরা আমাদের তথ্য- উপাত্ত বা নির্দেশসমূহ আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে দিকে দিকে সঙ্কেতরূপে যা পাঠিয়ে যাচ্ছি তা কোটি কোটি বছর পরও কেউ কোন সূক্ষ্ম যন্ত্রের সাহায্যে ধারণ করতে পারবেন অর্থাৎ তা রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে অজানা কোন মাধ্যমে। আমরা যন্ত্রের সাহায্যে কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত কোটি কোটি বছর আগে কোন তারকার জন্ম এখন অবলোকন করছি।
আমরা এ কালেই আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশের অদৃশ্য মাধ্যমে পাঠানো সঙ্কেত পৃথিবীর যে কোন স্থানে, মঙ্গল বা বহু দূরে অবস্থিত মহাকাশযানে পাঠাতে পারি ও সেসব জায়গা থেকে পাঠানো চিত্র বা তথ্য আমরা পেতে পারি। এর অর্থ এ ব্যবস্থা সর্বব্যাপী বিধায় লওহে মাহফুজে সুরক্ষিত সকল তথ্যই সর্বব্যাপী ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত। অন্য সকল স্তরের অদৃশ্য মাধ্যমের মতই এর অবস্থান আরশের ছায়াতলে যা আমাদের পৃথিবীর চারদিকের আকাশ থেকে দূরতম অবস্থান পর্যন্ত সর্বত্র বিস্তৃত। কেউ হয়ত বলবেন রেডিও ওয়েভে পাঠানো তথ্যত আমরা ডিকোড করতে পারি তবে লওহে মাহফুজের হদিস এখনও আমরা কেন পাই না❓আসলে আল্লাহ তাআলা যা গায়েব রাখতে চান তা গায়েব রাখা হবে। লওহে মাহফুজে সুরক্ষিত তথ্য এর স্রষ্টার নিজস্ব বিষয়, অপর পক্ষে যে প্রযুক্তি তিনি মানব জাতির কল্যাণে মানবকে দিয়েছেন তা যথাযথ ব্যবহার আমরা করছি। আমরা বানিয়েছি রেডিও-টিভি ষ্টেশন, ইউ টিউব-ফেসবুকের মত মিডিয়া। বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে মিলিমিটার পর্যায়ে (প্রায় 5 মিলিমিটার) নামিয়ে আনতে সক্ষম হন এ উপমহাদেশেরই বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। এরপর আরও গবেষণা হয়েছে। যাক, তিনি রেডিও সংকেতকে শনাক্ত করার জন্য অর্ধপরিবাহী জংশন ব্যবহার করেন। বৈদ্যুতিক তার ছাড়া কীভাবে দূরে রেডিও সংকেত পাঠানো যায় এ বিষয়ে তিনি অনেক গবেষণা করেন। ১৮৯৫ সালে তিনিই প্রথমবারের মতো বেতারে দূরবর্তী স্থানে রেডিও সংকেত পাঠিয়ে দেখান। মাইক্রোওয়েভ গবেষণার ক্ষেত্রেও তার বড় অবদান আছে। ক্রমে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সুনির্দিষ্ট ব্যবহার আমরা শিখতে পেরেছি। উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নততর প্রযুক্তির প্রেরক ও গ্রাহক যন্ত্র । যার দ্বারা আমরা হরেক চ্যানেলে সম্প্রচারিত সকল খবরাখবর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি, আলাদাভাবে আমরা জানা নম্বরে যোগাযোগ করতে পারছি তবে অজানা নম্বরে যুক্ত হওয়া অসম্ভব বৈকি। বৃহৎ শক্তিসমূহ তাদের সামরিক রেডিও তরঙ্গ গোপন রাখতে চায়। ওরা একাজে আর্থ ষ্টেশন ছাড়াও স্যাটেলাইট নামের স্পেস ষ্টেশন কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ ও ন্যাভিগেশন যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করেছে।
সমপর্যায়ের লওহে মাহফুজ নামের সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা আল কুরআন থেকে আমরা জেনেছি ১৪০০ বছর আগেই তবে এর বিস্তারিত আম মানুষকে জানানো হয় নাই তথা জানানো হয় নাই এর ঠিকানা বা অবস্থান। আমাদের জানানো হয় নাই আল্লাহর আরশ কি❓স্রষ্টা অবস্তু সত্তা ছাড়া আর কিছু নন। স্থান কালের উর্ধ্বে এক মহা শক্তি তিনি। স্রষ্টারত কোন আদল নাই, তিনিত সর্বব্যাপী বিরাজমান বিধায় তার বসার জন্য আরশ-কুরশির কি প্রয়োজন!
আসলে ওইসব রূপক অর্থে ব্যবহৃত স্রষ্টার ক্ষমতা প্রকাশক বিষয়। ওই সব নির্মাণে অবশ্যই কোন বস্তুর প্রয়োজন নাই তার। অবস্তু কোন নূর দিয়েই তার পক্ষে সকল কিছু সৃষ্টি করা সম্ভব। পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে বিগ ব্যাং তথা মহা বিস্ফোরণের পর সর্ব প্রথম আলোক কণিকা সৃষ্টি হয়েছিল ও তা থেকেই ক্রমে সকল কিছু সৃষ্টি হয়েছে ও এখনো হচ্ছে।
লওহে মাহফুজ, আরশ-কুরশি আর সকল গায়েবী বিষয়ের খবর মহিমান্বিত সত্তা সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভাল অবগত।রূপকভাবে খোদার আরশ থেকেই তার নির্দেশ পাঠানো হয় যা লওহে মাহফুজে সুরক্ষিত থাকে। এর হকিকত জানা আম জনতার জন্য এর চেয়ে অধিক জরুরি হলে স্রষ্টাই মানব কল্যাণে এ বিষয়ে গবেষণার নির্দেশনা প্রদান করতেন। তাই নয় কি❓
Mesmerising images of Horsehead Nebula captured by NASA https://www.dnaindia.com/web-stories/viral/mesmerising-images-of-horsehead-nebula-captured-by-nasa-in-space-1714616847397
প্রাথমিক কণা প্রসঙ্গ