অনুবাদ-১২৭

যিশু
অনুবাদ
ড্রাফট-১২৭

(যিশু কি মুসলিম ছিলেন? অধ্যায়-২
“তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের একটি নৈতিক সমালোচনা”)


(যীশু কি একজন মুসলিম ছিলেন?
WAS JESUS A MUSLIM? “আমেরিকান ধর্মের উদ্দেশ্যে”)

অন্যদিকে, যদি কেবল কি ধর্ম হিসেবে গন্য (বিবেচিত) এবং কি গন্য নয় তার মধ্যে একটি স্পষ্ট সীমা রেখা নির্ধারণ করা থাকে তবেই আদালত ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা প্রদান করতে পারে ।

আদালতকেই যদি আবশ্যিকভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষায় ধর্মের সংজ্ঞা সৃষ্টি করতে হয় তবে হাস্যকরভাবে বলতে হবে, “ধর্ম” ক্রমাগত ধর্ম নিরপেক্ষ আইন পদ্ধতি (সিস্টেম) দ্বারা নির্মিত এবং পুন:নির্মিত করা হয়। এমনটিই ধর্মকে এ জগতে বাস্তবে অস্তিত্বশীল এমন কিছুর কোন একটি রেফারেন্সিয়াল শ্রেণীর হতে বাধা দিয়ে থাকে। প্রথম সংশোধনী রাষ্ট্রকে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করা থেকে বিরত করতে পারে, কিন্তু এটি রাষ্ট্রের ধর্ম সৃষ্টি করার বিষয়ে কিছুই বলে না।

দেখুন, নিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার অনুশীলনে কেমন করে সুই জেনারিস ধর্মের বক্তৃতা কত সহজে আমাদের অন্ধ করে দেয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি আদর্শ তবে এর লক্ষ্য অনুধাবনযোগ্য নয় কারণ আমরা যাকে “ধর্ম” বলি তা বাস্তবে অস্তিত্বশীল নয় । আমাদের সমাজে অবশ্য ‘ধর্মের অস্তিত্ব খুবই  নিরপেক্ষকৃত’ বলে দাবী করা হয় তাস্বত্ত্বেও আমাদের মধ্যে অল্প সংখ্যকই ধর্মীয় স্বাধীনতা কতটা অপ্রাপ্য (তথা ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে কতটা বঞ্চিত) তা অনুধাবনে সমর্থ।

“ধর্ম” এর আচার অনুশীলন করাই কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক  সুরক্ষিত। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ে ধর্ম গঠনের সীমাহীন ক্ষমতা রাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে । তা এমন একটি প্রক্রিয়া যা কখনই নৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে পারে না।

দ্বিধা থাকা সত্ত্বেও, আমাদের সাংস্কৃতিকভাবে অবগত একটি আন্তঃ সাস্কৃতিক (ট্রান্সকালচারাল) ধর্মীয় সিফাতের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিদ্যমান সমস্ত প্রকার সাস্কৃতিক ঐতিহ্যকে যে বিভিন্ন বিভিন্ন কারণে একত্রিত করে ধর্মের তকমা (লেবেল) দেওয়া হয়েছে, তাই তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তৃতার জন্ম দিয়েছে।

বিধায়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান ভিত্তিক একটি শ্রেণীবিন্যাস ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকটিকে বুৎপত্তিগত (জিনাস) ধর্মের একটি প্রজাতি হিসাবে দেখা হয়। এ কারণে খৃষ্টান ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, ইসলাম, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, এবং অন্যান্য ধরনের ধর্ম একই বিষয়ের বিভিন্ন রূপ তাই একে অপরের সাথে তুলনীয়। এক ধর্মের সাথে আরেকটির তুলনা করার আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ এই কর্মে (ধর্ম আলোচনার উদ্যোগের মূলে) আরও জঘন্য গুপ্ত এজেন্ডা থাকে।

তুলনামূলক ধর্ম একটি পশ্চিমা বিষয়। সুতরাং যে সংজ্ঞা তারা প্রনয়ন করে থাকে তা সুনিশ্চিতভাবে পশ্চিমা এবং খ্রিস্টান ধর্ম ভাবাপন্ন ।

খ্রিস্টান পাশ্চাত্যের (ভাবনায়) “ধর্ম” হল বিশ্বাস ও অনুশীলনের এমন একটি ব্যবস্থা যা মূলত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবন থেকে পৃথক। একবার তা অ-খ্রিস্টান ঐতিহ্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া হলে, আমি বিশ্বাস করি ধর্মের তেমন গঠন মৌলিকভাবে সেই ঐতিহ্যকে বিকৃত করে। তা  ইসলাম এবং আফ্রিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ধর্ম বিষয়ে বিশেষভাবে প্রজোয্য। তা শোষিত জনগণের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়। সুতরাং, সর্ব প্রথম পর্যায়ে ধর্মের ধারণা কোথা থেকে এসেছে ❓

(এ অংশ ভাবানুবাদ করা হয়েছে।)

(চলবে)

অনুবাদক: সৈয়দ মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন।

অনুবাদকের কথা

Robert F. Shedinger লিখিত “Was Jesus a Muslim?” নামের পুস্তকটি আমি ড: শাহ মুহাম্মদ আব্দুর রাহিম সাহেবের অনুরোধে অনুবাদ করে যাচ্ছি ও অতঃপর ধারাবাহিকভাবে পোষ্ট দিচ্ছি ꫰ এর সবগুলো পোষ্টই আপনারা এফবি বা আমার সাইটে দেখে নিতে পারবেন ꫰
আমি আমার কর্মে কেবল লেখকের লেখাটিই অর্থ ঠিক রেখে ভাষান্তরের চেষ্টা করেছি ꫰ অবশ্য, কোন কোন পোষ্টে আমাকে ছোট্ট ভূমিকাও লিখতে হয়েছে ꫰

তবে মূল পুস্তকের পাঠ সহজবোধ্য করার জন্য আমাকে এর বাক্য কখনও কখনও আমার নিজের মত করে ভেঙে পুনরায় গড়তে হয়েছে ꫰ কোথাও প্রয়োজনে ব্রাকেটে আমার নিজ মত বা প্রাসঙ্গিক কারোর মত, ইংরেজি টেক্সট বা কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় ও লিঙ্ক যুক্ত করেছি ꫰ কখনও (ভাষান্তরজনীত ভ্রান্তিমুক্ত রাখতে) মূল টেক্সট বা বিশেষ কারও উদ্ধৃতি ইংরেজি ভাষায়ই হুবহু কপি করেছি꫰ একইভাবে এ পুস্তকে উল্লিখিত পাশ্চাত্যের ব্যক্তিবৃন্দের নামও উচ্চারণ বিভ্রাট থেকে  মুক্তি পেতে কখনো কখনো আমি ইংরেজি ভাষায় লিখা সমিচিন মনে করেছি ꫰

☀️⭐〽️☁️⭕鱗⚖️ ✈  

About Syed Mohd. Saleh Uddin

I am from Bangladesh (East Pakistan before 1971). I joined the PAF in 13 February, 1969 then served in the BAF and Bangladesh Army (AEC) and retired (as SWO) from the Bangladesh Army in December, 1986. Then I joined in a college as a Lecturer and lastly retired from the Rampura Ekramunnessa Degree College situated in Dhaka, Bangladesh in July 2012 as an Assistant Professor. During this long period, time to time I worked in the Dhaka University, National University, Bangladesh Open University, BISE and BTEB as an examiner or scrutinizer etc. I also served in the CATECH, HICAM, NIET etc institutes in different teaching capacities and now working in a literary project of Dr. Shah A. Rahim (Associate professor, BOU) as a translator of literary works and a free lancer for the world media viewers. I have few publications of various interests in Bangladesh.
This entry was posted in Book, Book, World religion, World Religion and tagged , , . Bookmark the permalink.

Leave a comment